জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেছেন, গত ১৬ বছরে দেশের সবগুলো বিভাগকে তছনছ করে দিয়েছিলো তৎকালীন সরকার। স্বৈরাচারের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা এত অন্যায় অত্যাচার করেছেন যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষ আর কোন স্বৈরাচারকে বাংলাদেশে দাড়াতে দিবে না। জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ‘২য় স্বাধীনতায় শহীদ যারা’ শীর্ষক স্মারক এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হল থেকে তিনি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও মৃত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ নানা অত্যাচারে-নির্যাতনে আল্লাহর আরশ কেপেছে, মানুষের মন কেঁদেছে কিন্তু শেখ হাসিনার হৃদয় কাঁপেনি। বরং কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদেরকে রাজাকার বলে শেখ হাসিনা দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। হাসিনার সেই দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ হলো।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য ও বগেরহাট জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করীম, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি মাওলানা আব্দুর রহীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন – বিএফইউজে সাবেক নির্বাহি সদস্য ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিউন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আলাউদ্দিন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ, কুয়েট প্রতিনিধি মোঃ ওমর ফারুক, সাতক্ষীরা জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব নাজমুল হাসান রনি, বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক এসএম সাদ্দাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ শাহআলম, শহীদ রকিবুল ইসলাম এর গর্বিত পিতা মোঃ রফিকুল ইমলাম, শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের গর্বিত পিতা বুলবুল কবীর, শিল্পি বদরুজ্জামান নাবিল, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদরা কোন দলের নয়, তারা জাতীয় সম্পদ, জাতীয় বীর।
দ্বিতীয় স্বাধীনতার শহীদ যারা গ্রন্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জামায়াতের টিম সকল শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ৭১৭ জনের তথ্য সম্বলিত আড়াই হাজার পৃষ্ঠার এই ১০ খন্ডের বই প্রকাশ করেছে। এখনো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। আরও ৯৩ জনের তথ্য নিয়ে বই সংকলনের কাজ চলছে। যতক্ষণ তথ্য আসবে শহীদদের সংকলন ততক্ষণ চলতে থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম